Sunday, October 30, 2016

ইউরোপ জুড়ে যুদ্ধের আতঙ্ক!


আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুদ্ধের আতঙ্ক ভর করেছে পুরো ইউরোপে! ন্যাটোর বিশ্বাস, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) সীমান্তে রাশিয়া ৩ লাখেরও বেশি ৩০ হাজার সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে। এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তর্জন গর্জন মোকাবিলা করতে ব্রিটেন যুদ্ধ বিমান, ট্যাঙ্ক ও সৈন্য পাঠিয়েছে বা পাঠাচ্ছে রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তে।
এ অবস্থায় যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কি উদ্বেগ্ন বা ভয় পাওয়া উচিত ? ইউরোপের রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজেছেন।
ব্রিটেনের সান পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কিছু রাজনীতিক মনে করছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুুতিন সৈন্য পাঠিয়ে ইউরোপীয়দের ভয় দেখাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার মনে করছেন, সেনা সমাবেশের ঘটনাকে ‘গুরুত্বের সঙ্গে’ নেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে নিজেদের অভিমত দিয়েছেন সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান রিফর্ম থিঙ্ক ট্যাঙ্কের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক পরিচালক ইয়ান বন্ড, সামরিক ঐতিহাসিক প্রফেসর মার্ক এলমন্ড ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মাইক জ্যাকসন।
করেন, রাশিয়াকে হুমকি হিসেবে বিবেচনা করতেই হবে। কেননা তারা তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে ন্যাটোকে বিবেচনা করে থাকে। এছাড়া দেশটি অত্যন্ত আক্রমণাত্মক কায়দায় সমরিক মহড়াগুলো করছে।
তারা ২০০৯ সালেও সামরিক মহড়া করেছিল। সেই সময় কম্পিউটারে সিমিউলিশন করে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতে পারমানবিক হামলা চালানো হয়।
একে ভয়ঙ্কর হুমকি বলে অভিহিত করে তারা বলেন, এ ব্যাপারে আপনি চোখ বুজে থাকতে পারেন না। তারা আরো বলেন, তখন পরিস্থিতি যেমন ছিল, এখনো সেই রকমই আছে। কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি। পুতিনের অবস্থান থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায়, ন্যাটোভূক্ত দেশগুলোকে ভয় দেখিয়ে কোনো কিছু আদায় করে নেওয়া। এই ভয় দেখানের জন্য কিন্তু শক্তি প্রয়োগ করতে হবে না, কেবল মাত্র ‘আওয়াজ’ তুললেই কাজ হবে।
পুতিন মনে করেন, ন্যাটো দেশগুলোকে যদি ভালো মতো ভয় দেখানো যায়, তাহলে তাদের কাছ থেকে যা চাওয়া যায় তাই আদায় করে নেওয়া সম্ভব হবে।

No comments:

Post a Comment