Friday, March 10, 2017

জেনেনিন, স্বামী-স্ত্রী’র কোন ভুলের কারণে জমজ সন্তান হয়

জেনেনিন, স্বামী-স্ত্রী’র কোন ভুলের কারণে জমজ সন্তান হয়


কেন একের অধিক বাচ্চা এক সময়ে গর্ভে আসে তা অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন জাগে। প্রথম ধরনের জমজকে বলে বাইনোভুলার বা ডাইজাইগোটিক এবং পরেরটিকে ইউনিওভুলার বা মনোজাইগোটিক। বাইনোভুলার বা ডাইজাইগোটিক অর্থ হচ্ছে একই সঙ্গে সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ডিম্বাণু আলাদা দুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে দুটি আলাদা জাইগোট গঠন।
ফলে একই জরায়ুতে বড় হওয়া শিশু দুটির আলাদা আলাদা ফুল বা প্লাসেন্টা থাকে। এদের লিঙ্গ ভিন্ন হতে পারে, আবার আলাদাও হতে পারে। দেখা যায় এরা জমজ হলেও এদের লিঙ্গ, রক্তের গ্রুপ, গড়ন, গায়ের রঙ বা অন্যান্য অনেক বৈশিষ্ট্য এক নয়।
কিন্তু কীভাবে: নিষিক্ত ডিম্বাণুটি জাইগোট গঠনের পর সমানভাবে বিভাজিত হয়ে দুটি আলাদা জাইগোট গঠন করে। এর ফলে দুটি শিশুর জন্য কেবল একটি মাত্র ফুল বা প্লাসেন্টা থাকে। শিশু দুটির লিঙ্গ এবং সব শারীরিক বৈশিষ্ট্য এক হয়ে থাকে।
শিশু দুটি পুরোপুরি একই জিন বহন করার কারণে সব বৈশিষ্ট্য একই রকম হয়। এতো গেলো গর্ভধারীনির শারীরিক ভেতরকার কথা। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর লাইফস্টাইলগত কিছু কারণও টুইন বেবী জন্মের জন্য দায়ী। অনেক তরুণী বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ কের টুইন বেবীর মা হয়েছেন।

Wednesday, December 14, 2016

আসছে গ্রহাণু, পৃথিবী অপ্রস্তুত, নাসার সতর্কবাণী


পৃথিবীর দিকে একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে। আর এটি আঘাত হানলে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এটি কিছুতেই রোধ করা যাবে না। নাসার এক বিজ্ঞানী সম্প্রতি এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের গবেষক ডা. জোসেফ নাথ বলেছেন, ‘একটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। যদি পৃথিবীর সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয় তাহলে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, বিলুপ্তির পর্যায়ের গ্রহাণু যে কোনো মুহূর্তে পৃথিবীতে আঘাত হানতে পারে। প্রায় সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীর শেষ প্রভাবশালী প্রজাতি ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে এই গ্রহাণুরই আঘাতে।
গত সোমবার পরমাণুবিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে জোসেফ নাথ তাঁর তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, ‘মানুষ এই বিস্ময়কর গ্রহাণু বা ধূমকেতুর জন্য একেবারেই প্রস্তুত নয়।’
অনুষ্ঠানে কীভাবে এই গ্রহাণু মহাজাগতিক বিপদ হয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তা উপস্থাপন করা হয়। নাসার ওই বিজ্ঞানী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, এই মুহূর্তে আমরা এ ব্যাপারে কোনোকিছুই করতে পারব না।’
আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের বার্ষিক সভায় বক্তব্যে জোসেফ আরো উল্লেখ করেন, বড় এবং বিপজ্জনক গ্রহাণু এবং ধূমকেতু মাঝে মাঝে পৃথিবীর আকাশে বিস্ফোরিত হচ্ছে এবং তা ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ছে। অন্যদিকে কিছু বিলুপ্তির পর্যায়ে রয়েছে, অনেকটা ডাইনোসর প্রজাতি নিধনকারীদের গ্রহাণুর মতো। এই প্রজাতি পাঁচ কোটি থেকে ছয় কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ধূমকেতু পৃথিবী থেকে দূরবর্তী পথে। কিন্তু মাঝে মাঝে আশপাশে ছিটকে যায়।

Tuesday, December 6, 2016

মেয়েদের যোনিপথ বড় বা ঢিলা: যোনিপথ টাইট করুন ঘরে বসে!


সেক্সের সময় যদি নারী পুরুষ উভয়ই আনন্দ না পান তাহলে সেক্স করার সকল মজাই বিফলে চলে যেতে পারে। নারীর কাছে যেমন পুরুষের শক্ত লম্বা এবং মোটা যৌনাঙ্গ সমাদৃত তেমনি পুরুষও চায় বড় দুধের টাইট যোনির মেয়ের সাথে সেক্স করতে। কিন্তু বাচ্চা জন্মের পর অনেক মেয়েরই যোনিপথ বড় হয়ে যেতে পারে যা অনেক সময় সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারন হয়ে দাড়ায়।
কারন মেয়েরা যখন গর্ভবতী হয় সেসময় প্রায় ৭-৮ মাস পুরুষ সেক্স করতে পারেনা। যেকারনে সে অপেক্ষা করতে থাকে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত আর তারপর যদি স্ত্রীর যোনিপথ বড় বা ঢিলা হয়ে যায় তাহলে সে পুরুষ মোটা লম্বা যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে মজা পায় না। আমাদের দেশে অনেক মেয়েই এই সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু লোক লজ্জার কারনে মুখ ফুটে বলতে পারছেন না আবার এই সমস্যায় পড়ে স্বামী সংসার হারানোর উপক্রম হয়েছেন। তাদের জন্য আজ নিয়ে এসেছে কিভাবে ঘরে বসেই টাইট করবেন নিজের যোনিপথঃ
*আমলকীর সিরাপঃ আমাদের দেশের খুবই পরিচিত একটি ফল আমলকী। দামে কম সহজলভ্য এই ফলটি যোনিপথ টাইট করার জন্য বাইরের দেশগুলোতে মেয়েদের যোনিপথে ব্যাপক পরিমানে ব্যবহার করা হয়। আমলকী ফল কিনে এনে অথবা সংগ্রহ করে পানিতে সিদ্ধ করুন। যখন আমলকী পানিতে গলে পানিটি পুরু হয়ে আসবে তখন মিশ্রণটি বোতলে সংগ্রহ করুন। এরপর যখনই মেয়েরা গোসল করতে যাবেন সিরাপটি যোনিপথের ভেতরে এবং বাইরে ম্যাসেজ করুন। প্রায় এক মাস এই নিয়ম অনুসরন করলে যোনিপথ টাইট হয়ে আসবে।
*কেগেল ব্যায়ামঃ এই ব্যায়াম অনুসরন করে অনেক মেয়েই জীবনে সুখ ফিরে পেয়েছে। বলা হয়ে থাকে যে বাচ্চা হওয়ার পর নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে যোনিপথ ঠিক কুমারী মেয়ের মত টাইট হয়ে যায়। এই ব্যায়ামটিতে কুঁচকির মাংসপেশি বারবার সংকোচিত এবং প্রসারিত করা হয়। কুঁচকি ১০ সেকেন্ডের জন্য সংকোচিত করে ছেড়ে দিতে হয় আবার ১০ সেকেন্ডের জন্য সংকোচিত করতে হয় এভাবে প্রায় ১৫ বার পদ্ধতিটি রিপিট করুন। দিনে বিরতি দিয়ে দিয়ে ১০০-২০০ বার কেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। প্রসাব করার সময়ও এই ব্যায়ামটি করতে পারেন। প্রসাব করার সময় পেশি সংকোচিত করে ৫ সেকেন্ডের জন্য প্রসাব আটকে রাখুন তারপর ছেড়ে দিন।

Saturday, December 3, 2016

সামাজিক মাধ্যমে লম্পট এক নরপশু ‘পিতার’ দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবী


সভ্যতার শুরু থেকেই সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালোবাসা অকৃত্তিম। একজন সন্তান বরাবরই তার পিতা-মাতার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ যে কোন মুহুর্তেই। অথচ কালের বিবর্তনে এমন বিশ্বাস আর মুল্যবোধের মুখে লাথি মেরে মাত্র কিছু মানুষের ‘পশুসুলভ’ আচরনের কারনে সেই পবিত্র সম্পর্ক হয়ে উঠছে ভয়াবহ রকমের প্রশ্নবিদ্ধ !
খবরের পাতায় সামান্য বিরতি দিয়েই প্রায়শই দেখি গর্ভধারিনী মায়ের হাতে সন্তানকে নৃশংস কায়দায় হত্যার মত ঘটনা। আবার কখনো নিজ পিতার হাতে আপন কন্যার ধর্ষিত হবার মত ন্যাক্যারজনক ঘটনা ! অনেক সময় সংবাদ হিসেবে সেসব ঘটনা প্রকাশ করতে শুধু আমরাই নই পাঠকেরাও হয়ে থাকেন দারুন রকমের বিব্রত।
এবার তেমনি একটি ন্যক্যারজনক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। খুব সহজেই আইনের ফাঁক-ফোকড় গলিয়ে এই নরপশু বাবা যেন পার না পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সবাই। প্রতিবাদে সবাই তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন যে, খুব দ্রুতই এই নরপশুর দৃস্টান্তমুলক শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় ।
নগরীর লালদিঘীরপার এলাকায় একটি আবসিক হোটেলে নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এক বৃদ্ধ পিতার বিরুদ্ধে !
মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টায় নরপশু ঐ বাবাকে হোটেলে কতৃপক্ষ আটক করার পর তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।বর্তমানে আটক ঐ নরপশু জেলহাজতে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইলিয়াস মিয়া (৫৫) নামক ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।ইলিয়াস মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার মোকাম দুয়ার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় যুবক রাজিউল সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে হোটেলের একটি  কক্ষে ধস্তাধস্তি ও নারী কন্ঠের চিৎকার শুনে হোটেল কতৃপক্ষ সহ স্থানীয়রা এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ‘হাউমাউ করে কেদে উঠে বছর ১৮’র এক কিশোরী ।কিশোরীর অভিযোগ সাথে থাকা বৃদ্ধ মানুষটি তার বাবা। আর তার বাবাই তাকে কৌশলে হোটেল রুমে উঠিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে!
সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানার এসআই ফয়েজ আহমদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট শহরে আসেন ইলিয়াস মিয়া। বিকেলে ডাক্তার দেখাবেন অজুহাত দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে লালদিঘীরপারস্থ হোটেল আল-ইসলামে ওঠেন তিনি।’
হোটেল কক্ষে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইলিয়াস মিয়া। এসময় কক্ষের ভেতর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে হোটেলের ম্যানেজার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ওই মেয়ে পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস মিয়াকে আটক করা হয়।  পরে মেয়ের মামলার প্রেক্ষিতে ইলিয়াস মিয়াকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মেয়ে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এসআই ফয়েজ।

স্থানীয়দের মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও থেকে সংগৃহীত

ভিডিওটি সংবাদ প্রকাশের ‘নীতিমালা’ মেনে অস্পষ্ট করা হয়েছে । কথোপকথন- সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ।

Wednesday, November 30, 2016

সৌদি আরবে হঠাৎ তুষারপাত


মরুভূমির দেশ সৌদি আরবের এক অংশে শুরু হয়েছে তুষারপাত। তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাওয়ায় মরুভূমির বালু ঢেকে গেছে গুঁড়ি গুঁড়ি তুষারে।
দেশটির মধ্য ও উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে হঠাৎ এই তুষারপাত স্থানীয়দের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। কারণ সাধারণত শীতের সময় বা নভেম্বর মাসেও এই অঞ্চলের তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। এই তুষারপাত এলাকাবাসীর জন্য অকস্মাৎই।
সৌদি গেজেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির আল জাওয়াফ প্রদেশ এবং উত্তরাঞ্চলের আল কুরায়াত প্রদেশের তাপমাত্রা মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও মাইনাস ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। এর ফলে এই তুষারপাত হচ্ছে।
আকস্মিক এই তুষারপাতের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করে ছবি আর পোস্ট দিচ্ছেন অনেক সৌদি নাগরিক। তুষারপাতে ঢাকা মরুভূমি বা খেজুরগাচের ছবিতে ভরে গেছে ফেসবুক। সেই সঙ্গে বরফের ওপর নিজের স্কি করার ভিডিওর আপলোড করছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্থানে বরফ দিয়ে স্নোম্যান বানিয়েও আনন্দ করছেন সৌদি আরবের মানুষ। কেউ কেউ এসব স্নোম্যানকে পরিয়েছেন পছন্দের ফুটবল দলের পোশাকও।
বরফ নিয়ে সৌদি আরবের বাসিন্দাদের এমন মাতামাতি অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও এমন তুষারপাতে আনন্দে ভেসেছিলেন তাঁরা।

Saturday, November 19, 2016

যৌনরোগ ছড়াচ্ছে এটিএম মেশিন!

এই খবরটি পড়ার পর থেকে আপনি নিশ্চয়ই টাকা তোলা এবং জমা দেওয়ার এটিএম মেশিন ব্যবহারে সতর্ক থাকবেন। কারণ এটিএম মেশিন থেকে ছড়াচ্ছে যৌনরোগ। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরিপের গবেষকরা এমন তথ্যই জানিয়েছে।

‘এমস্ফিয়ার’  নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাভিত্তিক সাময়িকীর বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম ডেকান ক্রনিকেল আজ শনিবার একটি খবর প্রকাশ করেছে। সেখানে  জানানো হয়,  যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের এটিএম ব্যবহারকারীদের ওপর গবেষণা চালিয়ে পাওয়া যায় এই ভয়াবহ তথ্য।

ওই গবেষকদলটি এটিএমের কি প্যাডে মানুষ ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহের নিম্নাংশ ও যৌনাঙ্গে অবস্থানকারী পরজীবীর নমুনা পেয়েছেন। এ ছাড়া মানবদেহের যৌনাঙ্গে সংক্রমণ ঘটানো পরজীবী ‘ট্রাইকোমোনাস ভ্যাজিনালিস’ গোত্রের আরেক পরজীবীর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এটিএমের কী-প্যাডে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এটিএম যন্ত্রের কি প্যাড জীবাণু দিয়ে ভর্তি থাকে। আর ওই জীবাণুদের মধ্যে এই দুই ধরনের পরজীবীর উপস্থিতি টাকা তুলতে যাচ্ছেন এমন গ্রাহকদের জন্য ভয়ানক হতে পারে। কারণ যৌনরোগ ছড়াতে এই দুই পরজীবী সিদ্ধহস্ত। এছাড়া এটিএম ব্যবহারের পর হাত না ধোয়াও হতে পারে ভয়ংকর। কারণ খাবারের মধ্যে দিয়ে এসব পরজীবীর বেশি সংক্রমণ হয়।
২০১৪ সালের জুন এবং জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটন, কুইন্স এবং ব্রুকলিনের ৬৬টি এটিএম মেশিনের কী-প্যাডে পাওয়া জীবাণুর নমুনা নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। গবেষকদলের প্রধান ছিলেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেন কার্লটন।
অধ্যাপক কার্লটন জানান, গবেষণার পর জানা গেছে এটিএমের কি-প্যাড আসলে জীবাণুদের আস্তানা। নানা উৎস থেকে এসে জীবাণুরা বাসা বাঁধে এটিএম কি প্যাডে। ওখানে বাসা বাঁধার মুল কারণ তাদের পরিবাহক অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শের সহজলভ্যতা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনুকূল পরিবেশ। ফলে বায়ু বা প্রাণীবাহিত জীবাণুরা সহজেই কি প্যাডের ওপর বাসা বাঁধে এবং পরিবাহকের মধ্য দিয়ে দ্রুত বিভিন্ন দেহে স্থানান্তরে সক্ষম হয়।
অধ্যাপক কার্লটন জানান, বিশেষ পদ্ধতিতে এটিএমের কি প্যাড থেকে জীবাণু ও পরজীবী সংগ্রহ করে তাঁদের ডিএনএ আলাদা করা হয়। এরপর শুরু হয় গবেষণা। দেখা যায়, টেলিভিশন, ড্রয়িংরুমের সোফা-বালিশ, রান্নাঘরের ময়লা, শামুক ও মুরগি, নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ-দই এবং ডিমে যে জীবাণু থাকে, একই ধরনের জীবাণুর দেখা মেলে এটিএমের কি প্যাডে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, সারাদিনের বিভিন্ন কাজে আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে জীবাণু ঢোকে। যেমন কেউ একজন খাবার খেলেন অথবা কোনো পুরোনো-পচা জিনিস ধরলেন। সেখান থেকে তার হাতে জীবাণু স্থানান্তরিত হয়।
এরপর ধরুন তিনি গেলেন এটিএম মেশিনে টাকা তুলতে। হাত থেকে মেশিনের কি প্যাডে খুব সহজেই জীবাণুর স্থানান্তর হয়। এরপর অন্য কোনো ব্যবহারকারী ওই কি প্যাডে হাত রাখলে জীবাণু তাঁর শরীরে চলে যায়।
অধ্যাপক জেন কার্লটন বলেছেন, আমাদের ফলাফল দেখিয়েছে এটিএম কি প্যাডে বিভিন্ন উৎস থেকে জীবাণু আসে। আর স্থানান্তরও হয় দ্রুত। এর মূল কারণ মানুষের অসাবধানতা। কারণ আমরা কোনো নোংরা বস্তু ধরার পর জীবাণুর ভয়েই হাত ঠিকভাবে ধুয়ে ফেলি। কিন্তু এটিএমে জীবাণুর কথা জানি না বলেই এটি ব্যবহারের পর হাত পরিষ্কারের পর মাথায় আসে না। ফলে জীবাণু সংক্রিমত হয় দ্রুত।

যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালাতে ১২ মিনিট লাগবে রাশিয়ার


নতুন এক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া, যা পারমাণবিক বোমা নিয়ে মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম। অবজেক্ট ৪২০২ নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলে, তাই এটি সামরিক জোট ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে যেতে পারবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলের ক্যামচাটকা উপদ্বীপে ইয়াসনি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। এটি কয়েক হাজার মাইল দূরত্ব অতিক্রম করে। আর উৎক্ষেপণের পর একপর্যায়ে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিবেগ হয়েছিল ঘণ্টায় চার হাজার মাইল। রাশিয়ার সুপারসনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রের পথ রোধ করা বাস্তবিকভাবে অসম্ভব। ন্যাটোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও একে থামাতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যম স্যালনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যেই অবজেক্ট ৪২০২ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাজ্যের উপকূলে পৌঁছে যেতে পারবে। আর যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং রাডারে এটি ধরা পড়বে না।
অবজেক্ট ৪২০২ ক্ষেপণাস্ত্র স্যাটান-২ নামক পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারবে। স্যাটান-২ আনুষ্ঠানিকভাবে আরএস-২৮ সারম্যাট সুপার নিউক নামে পরিচিত। ধারণা করা হয়, রাশিয়ার নতুন এই অস্ত্রে ১৬টি পারমাণবিক বোমা থাকে। একটি স্যাটান ২-এর বিস্ফোরণে ফ্রান্স বা টেক্সাসের সমান এলাকা মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
রাশিয়ার ট্যাকটিক্যাল মিসাইলস করপোরেশনের দাবি, তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হিরোশিমা এবং নাগাসাগির আণবিক বোমা ‘পপগানে’র মতো।
সংবাদমাধ্যম স্যালনের মতে, রাশিয়ার সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে স্বাভাবিকভাবেই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর চাপ থাকবে।
চলতি মাসে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিভিন্ন প্রচারণায় ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও প্রশংসা করেছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ন্যাটো দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এই দুর্বলতার সুযোগে ইউক্রেন ও ক্রিমিয়ার ওপর পুতিনের সাম্রাজ্যবাদী মনোভাব হয়তো অব্যাহত থাকবে।
অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সক্ষমতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র এবং এর ইউরোপীয় মিত্রদের ওপর হুমকিই দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

Friday, November 18, 2016

স্ত্রীর গোপনাঙ্গে এসিড নিক্ষেপ, এলাকাবাসীর হাতে আটক পাষণ্ড স্বামী


রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানা এলাকায় এক গৃহবধূর গোপনাঙ্গে এসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী পারভেজকে (৩৮) আটক করেছে পুলিশ।
আহত ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে বাসায় নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েটির ভাই জানান, তোর বোন সেলাইয়ের (দর্জি) কাজ করে কিন্তু তার ভগ্নিপতি পারভেজ মিয়া কিছুই করে না। বেকার অবস্থায় ঘরেই বসে থাকে। এ বিষয় নিয়ে তাদের সংসারে মাঝে মাঝেই কথাকাটাকাটি হতো। শুক্রবার ভোরবেলাতেও তাদের মধ্যে কাজ করা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বামী তার গোপনাঙ্গে এসিড ঢেলে দেয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তার স্বামীকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ওই গৃহবধুর পরিবার থেকে মামলা করা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Thursday, November 17, 2016

‘আমার স্বামী জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমার অনেক রক্ত বের হয় ...’


‘আমার বিয়ে হয়েছে ৮ মে। প্রথম রাতে আমার পেইন হয়। তার জন্য আমি ওর সাথে কিছু করতে পারি না। তার পরের দিন আমার পিরিয়ড শুরু হয়। সাত দিন পর আবার শারীরিক সম্পর্ক করতে যাই। আমার অনেক রক্ত বের হয়। আমি ভয় পাই। তাই ডাক্তারের কাছে যাই। ডাক্তার এক সপ্তাহের মধ্যে কিছু করতে নিষেধ করে। কিন্তু আমার স্বামী কিছু শুনতে চায় না। আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। আমি যখন বললাম যে আমার পেইন হচ্ছে, তখন আমাকে অনেক কিছু মানে অনেক কথা শুনিয়েছে। এখন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আপু আমার অনেক ভয় লাগে। আমার সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে। না করতে চাইলে গায়ে হাত তোলে। আপু এই চার মাসে জীবনে তাঁর প্রতি আমার সব ভালোবাসা শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না আপু। প্লিজ কিছু বলুন।’
প্রশ্নটি আমাদের ফেসবুক পেজে করেছেনঃ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তরুণী।
উত্তর :দেখো আপু, এই সম্পর্ক নিয়ে দ্বিতীয়বার চিন্তা ভাবনা করার কোন অবকাশই নেই। তুমি যদিও তোমার কোন বয়স লেখোনি, কিন্তু আমি ধরেই নিচ্ছি তোমার বয়স অনেক কম। আর তোমার স্বামী নামের জানোয়ারটা তোমাকে গত ৪ মাস যাবত যেটা করে যাচ্ছে সেটা ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই না। হ্যাঁ, তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক অতি অবশ্যই ধর্ষণ। সেটা যদি স্বামী করে, তাহলেও। স্বামী বলেই তোমার শরীরের ওপরে সে যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার পেয়ে যায় না। অনুমতি ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক, তোমাকে নির্যাতন করে শারীরিক সম্পর্ক, করতে না পারলে মারধোর এই সবই এক কথায় পাশবিক অত্যাচার। যে লোক মাত্র ৪ মাসেই তোমার সাথে এইসব করে ফেলেছে, এই মানুষের সাথে আর যাই হোক কোনভাবেই তুমি সুখী হতে পারবে না।
অবিলম্বে নিজের মা-বোন-পরিবারের কাছে বিষয়টি খুলে বলো ও স্বামীকে ডিভোর্স দেয়ার ব্যবস্থা করো। কোনভাবেই কারো বোঝানোতে কান দিবে না আপু। এই ধরণের জানোয়ার কখনো ভালো হয় না। এই জানোয়ারের সাথে ঘর করলে আজীবন তুমি একটা সেক্সটয় হয়েই থেকে যাবে। পরিবার যদি ডিভোর্সে রাজি না হয়, তাহলে কোন মহিলা সংস্থার (যেমন মহিলা পরিষদ), পারিবারিক আইন ও সালিশ কেন্দ্র ইত্যাদির সাহায্য নাও এবং নিজেই তালাকের ব্যবস্থা করো। লোকটা ঝামেলা করলে নারী নির্যাতন মামলা করে দাও। ভয়ের কিছুই নেই। তুমি নিজেই চাইলে এই লোককে তালাক দিতে পারবে, এবং কেউ তোমাকে সংসার করার জন্য বাধ্য করতে পারবে না।
একটা জিনিস মনে রাখবে আপু, এই সম্পর্ক নিয়ে যদি সমঝোতা করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করো, তাহলে দিন দিন কেবল তোমাদের সমস্যা বাড়বেই। এই সমস্যার আর শেষ হবে না। তোমার যন্ত্রণার আর শেষ হবে না। এটা থেকে বের হয়ে নতুন ভাবে বেঁচে থাকা তোমাকে শিখতেই হবে। এই কারাগার তোমাকেই ভাঙতে হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন-রুমানা বৈশাখী

Tuesday, November 15, 2016

৩০ দিন টানা আদা খেলে কী হয়?


রান্নাবান্নার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান আদা। তবে মানুষ একে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া উপাদান হিসেবে বহুকাল ধরে ব্যবহার করছে। যেমন বমি বমি ভাব, হজমের সমস্যা ও ব্যথা ইত্যাদি।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে ৩০ দিন একটানা আদা খাওয়ার কিছু উপকারিতার কথা।
১. হজমের সমস্যা রোধে
আদার মধ্যে ডাইজেসটিভ ট্রাক্টের প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। এটি পাচক রস নিঃসরণ করতে সাহায্য করে। এতে খাবার ও পানি খুব সহজে পেটে নড়াচড়া করতে পারে।
২. বমি রোধে
গর্ভাবস্থায় বমি কমাতে আদা খুব উপকারী। এ ছাড়া মর্নিং সিকনেস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
৩. ব্যথা কমাতে
পেশি ব্যথায় আদা কার্যকর। আদা ২৫ ভাগ পেশির ব্যথা কমাতে কাজ করে।
৪. প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে
২৪৭ জনের একদল লোকের ওপর একটি গবেষণা করে দেখা গেছে, আদা খুব দ্রুত গাঁটের ব্যথা কমায় এবং গাঁটের ক্ষয় রোধে সাহায্য করে।
৫. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে
৮৫ জনের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন মাত্র তিন গ্রাম আদার গুঁড়ো খেলে শরীরের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
৬. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
প্রতিদিন মাত্র ২ গ্রাম আদার গুঁড়ো ১২ সপ্তাহ ধরে খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১০ ভাগ কমে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে ১০ ভাগ।
৭. আদা ক্যানসাররোধী
আদার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক উপাদান। এটি কোলনের ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
৮. মস্তিষ্কের কার্যক্রম ভালো করে
আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও বায়োঅ্যাকটিভ উপাদান মস্তিষ্কের অকালবার্ধক্য কমায়। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।

নরসিংদীতে টেঁটাযুদ্ধে নিহত ৩, ওসিসহ আহত ৩০


আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনজন নিহত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে পুলিশ ও দুই দল গ্রামবাসীর ত্রিমুখী সংঘর্ষে রায়পুরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, তিন এসআই ও দুই কনস্টেবলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এঘটনায় আটক করা হয়েছে ১৩ টেটাঁবাজকে।
সোমবার দুপুরে জেলার রায়পুরা উপজেলার নিলক্ষায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মোমেন মিয়া, মানিক মিয়া ও খোকন সরকার
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকার আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ও বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে শনিবার থেকে আজ সোমবার ৩দিন যাবৎ এই সংঘর্ষ চলছে। আজ সকালে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে চেষ্টা চালায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশের উপর ককটেল ও টেটা নিক্ষেপ করে হামলা চালায় গ্রামবাসীরা। এতে ককটেলের স্প্রিন্টারে আহত হয় রায়পুরা থানার ওসি আজহার উদ্দিন। এই হামলায় ককটেল ও টেটার আঘাতে ৩জন এসআই ও ২জন কনস্টেবল আহত হয়েছে। থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।
পুলিশ জানায়, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বি-বাড়িয়া জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জন টেঁটাবাজকে আটক করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানায় পুলিশ।

Monday, November 14, 2016

তাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান, চিকিৎসার দায়ভার নিলো ভারত


আর্ন্তজাতিক ডেস্কঃ- বহু আলোচিত  আফগানস্থানের সেই  ‘কিশোরী’কে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল পাকিস্তান থেকে। কিন্তু ভারত তাকে দিয়েছে ভালোবাসা । শুধু তাই নয়, আলোচিত আফগানী ‘কিশোরী’র বিনা পয়সায় চিকিৎসা করার দায়িত্ব নিয়েছে ভারত। সম্প্রতি জানা গেছে, শরবত হেফাটাইটিস সি-তে আক্রান্ত।  এ খবর পাওয়ার পর ভারত সরকার ব্যঙ্গালুরুতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শরবত গুলার চিকিৎসা করাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আফগান ‘কিশোরী’কে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নয়াদিল্লির আফগান রাষ্ট্রদূত সাহিদা মহম্মদ আবদালি। তিনি জানান, আফগান গার্লের দ্রুত ভিসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।  ১৯৮৪ সালে দেশে ছেড়ে পাকিস্তানে চলে এসেছিলেন শরবত। সেখানেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের চিত্রগ্রাহক স্টিভ ম্যাককারে ধূসর চোখের এক আফগান বালিকার ছবি তেলেন। ১৯৮৫ সালে সেই ছবি ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাদের প্রচ্ছদে প্রকাশ করে। সেই বালিকাই আজকের শরবত গুলা। এখন চেহারায় বয়সের ছাপ পড়লেও তার দুই চোখ বালিকা বয়সের মতোই তীক্ষ্ণ।

উল্লেখ্য যে, পাসপোর্ট জাল করার অভিযোগে পেশোয়ারে গ্রেফতার হওয়ার পর শরবত গুলা নামের সেই ‘কিশোরী’কে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান।

নরসিংদীতে নায়ক-নায়িকা বানানোর নামে চলছে প্রতারণা


নরসিংদীতে চলচ্চিত্রে নায়ক-নায়িকা বানানোর নামে ব্যপক হারে প্রতারণা শুরু করেছে এক শ্রেনীর প্রতারক চক্র। নিম্নমানের ছবি তৈরি করে স্থানীয় ক্যাবল চ্যানেলে চালানোর নাম ভাঙ্গিয়ে নবাগত আগ্রহী অভিনেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। সাধারণ পরিবারের মেয়েরাও চলচ্চিত্রে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর এই আগ্রহকে পুঁজি করে নতুন নায়ক-নায়িকা হতে ইচ্ছুকদের সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণা।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সহশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কিছু লোক আছে যারা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়ে চলচ্চিত্রের তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলে নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করে। নিজেকে চলচ্চিত্রের লোক হিসেবে প্রমাণ করতে চায়। তারপর তারা ফেসবুকে বিভিন্ন ছেলেমেয়েকে চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। রাজি হয়ে গেলেই শুরু হয় প্রতারণা। ছেলেদের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা আর মেয়েদের ক্ষেত্রে হয় আরো জঘন্য প্রতারণা। আর এ প্রতারনার ফাঁদে বেশি পা দিচ্ছেন মেয়েরা। নতুন কাজ করতে চায়, তারা আসলে জানে না কিছুই, যে কারণে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা সহজ।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন জানায়, `নরসিংদীতে প্রতিনিয়তই এ ধরনের প্রতারনার ঘটনা ঘটছে। ক্যাবল টিভির নাম ভাঙ্গিয়ে তারা নতুনদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই হচ্ছেন সর্বশান্ত। ক্যাবল চ্যনেলে নায়ক-নায়িকা নেয়া হবে দেখে ফোন দিয়েছিলাম। আমার কাছে টাকা দাবি করলে বুঝে গিয়েছিলাম প্রতারক চক্র। তাই আর যোগাযোগ করি নি’
নরসিংদী পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, `আমরা অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। অভিযান চালিয়ে দ্রুত চক্রের সদস্যদের ধরা হবে বলে জানান তিনি।’
প্রতারনার ফাদ থেকে রক্ষা পেতে নিজেদের সচেতনতা বাড়ানোর আহব্বান জানিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সহশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, `ফেসবুকে একজন বলল- আপনি খুব সুন্দর, নায়িকার মতো লাগছে, অভিনয় করবেন কি না, আর আপনি চলে গেলেন- বিষয়টি এত সহজ নয়। দু-চারদিনে নায়ক-নায়িকা হওয়া যায় না। আমার মনে হয়, নতুনদের আরো সচেতন হতে হবে। আর সচেতনতাই পারে এ ধরনের প্রতারণার জবাব দিতে।’
এসব বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো দরকার বলে জানান সচেতন মহল।

ছবি করতে এসে অনেকের সাথে বেডে যেতে হয়েছে ! নিজ মুখে কথা গুলো বললেন পরিমনী । ভিডিও টি দেখুন।




৩০ লাখ অভিবাসীকে ফেরত পাঠানো হবে


দায়িত্ব  গ্রহণের পর  যত তারাতারি সম্ভব ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কথা বললেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।নির্বাচনের পর রোববার প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাতকারে সিবিএসের সিক্সটি মিনিট প্রোগ্রামে তিনি একথা বলেন।
ট্রাম্প নির্বাচনের আগে এমনটিই অঙ্গীকার করেছিলেন।এখন সেটি বাস্তবায়নের কথা বললেন। এছাড়া মেক্সিকোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণেরও ঘোষণা দেন ।
ওই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প  জোর দিয়ে বলেন, তার নির্বাচনী প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ করা। সেই প্রাচীর তৈরির খরচও মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায় করা হবে।নির্বাচনের আগে ট্রাম্প মেক্সিকোকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তারা ধর্ষক ও অপরাধীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে।
ট্রাম্প বলেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি ,যারা অপরাধী এবং যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। যারা কোনো গ্যাংয়ের সদস্য অথবা মাদক ব্যবসায়ী। এরকম প্রচুর সংখ্যক মানুষ রয়েছে। যা প্রায় ২০ লাখ  থেকে ৩০ লাখ হতে পারে। আমরা তাদেরকে  নিজ দেশে  ফেরত পাঠাতে যাচ্ছি।তবে এর আগে তাদের জায়গা হবে কারাগার।

জানেন ? যে স্বপ্নগুলি দেখলে বুঝবেন আপনার মৃত্যু আসন্ন


ঘুমের মধ্যে দেখা স্বপ্ন কি সত্যিই নিকট ভবিষ্যতের কোনও আভাস দেয়? বিজ্ঞানমনস্ক কিংবা যুক্তিনির্ভর মানুষরা এই প্রশ্নের উত্তরে বলবেন, না, দেয় না। কিন্তু এ কথা‌ও ঐতিহাসিক ভাবে সত্য যে, অনেক ক্ষেত্রে স্বপ্নে দেখা ঘটনা কয়েক দিনের মধ্যেই আশ্চর্যজনকভাবে সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে। এম‌নকী, এমন‌ বিশ্বাসও প্রচলিত রয়েছে যে, স্বপ্নে অনেক সময়ে আভাসিত হয় আসন্ন মৃত্যুর পূর্বাভাসও।
রামায়ণে বর্ণিত হয়েছে যে, রাজা দশরথের মৃত্যুর এক রাত্রি আগে ভারত পিতা দশরথকে তাঁর স্বপ্নে যমরাজের দিকে হেঁটে যেতে দেখেছিলেন। স্পষ্টতই এই স্বপ্ন ছিল দশরথের মৃত্যুর ইঙ্গিত। শুধু মহাকাব্য নয়, বাস্তবেও এই জাতীয় ঘটনার নজির রয়েছে। আব্রাহাম লিঙ্কন তাঁর মৃত্যুর কয়েক দিন আগে স্বপ্নে নিজেকে কফিনে শায়িত থাকতে দেখেছিলেন।
জুলিয়াস সিজার বা ক্যালিগুলাও তাঁদের আসন্ন মৃত্যুর প্রতীকী আভাস পেয়েছিলেন তাঁদের স্বপ্নে। অলৌকিকতা নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বলছেন, কোনও
ব্যক্তির আসন্ন মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ যেমন তাঁর দেহে বা মনে ধরা পড়ে তেমনই ধরা পড়ে স্বপ্নেও। বলা হচ্ছে, স্বপ্নে নিহিত বিশেষ কিছু‌ প্রতীকই নিজের অথবা কোনও আত্মীয়-বন্ধুর নিকটাগত মৃত্যুর পূর্বাভাস দেয়। কীরকম? আসুন, জেনে নিই:-
সাপ: স্বপ্নে সাপ-দর্শন পৃথিবীর বহু সংস্কৃতিতেই অশুভ লক্ষণ বলে মনে করা হয়। স্বপ্নে দৃষ্ট সাপ আসন্ন মৃত্যুর প্রতীক, এমনটাই বিশ্বাস।
কালো বিড়াল: কালো জাদু বা ডাইনি বিদ্যার চর্চা করেন যাঁরা তাঁদের কাছে কালো বিড়াল
বিশেষ তাৎপর্যবাহী। তাঁরা মনে করেন, স্বপ্নে কালো বিড়াল দেখার অর্থ কোনও ঘোরতর অমঙ্গল ঘটতে চলেছে জীবনে। এমনকী মৃত্যুও সেই অমঙ্গলের সীমানাভুক্ত হতে পারে।
দাঁত পড়ে যাওয়া: অনেকের মতে স্বপ্নে দাঁত পড়ে যেতে দেখা, কোনও নিকটজনের আসন্ন মৃত্যুর দ্যোতক।
দাঁড়কাক: দাঁড়কাক বা অন্য কোনও কালো পাখি যদি স্বপ্নে আবির্ভূত হয়, তাহলে তা নিকটাগত মৃত্যুর লক্ষণ বলে ধরতে হবে।
ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা: যদি স্বপ্নে কোনও ক্রন্দনরত শিশুর পরিচর্যা করতে দেখা যায় নিজেকে, তাহলে তা নিজের অথবা কোনও নিকটজনের ম়ৃত্যুর পূর্বাভাস বলে ধরতে হবে।
কোনও ডুবন্ত ব্যক্তিকে বাঁচানো: বলা হয়, স্বপ্নে কোনও ব্যক্তিকে নিশ্চিৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচালে জলের অশুভ শক্তির ক্রোধ গিয়ে পড়ে রক্ষাকারী ব্যক্তির উপর। ফলে এবার তারা সেই ব্যক্তিকেই মৃত্যুর দিকে টেনে নেয়।
নাচ-গানে উচ্ছল আনন্দোৎসব: কেউ যদি স্বপ্নে নিজেকে নাচে-গানে উচ্ছল কোনও উৎসবে অংশগ্রহণ করতে দেখে, তাহলে শীঘ্রই সেই ব্যক্তি খুন হবে বলে মনে করা হয়।
একা একা মদ্যপান: কোনও ব্যক্তি যদি স্বপ্নে দেখে যে, সে কোনও শ্মশান বা কবরস্থানে কিংবা কোনও পাহাড়চূড়ায় একা বসে মদ্যপান করছে, তাহলে আদপে তার মৃত্যু তার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে।

Saturday, November 12, 2016

জানেন কি শীতকালেই এত বিয়ে হয় কেন ?


কখনও ভেবে দেখেছেন, শীত এলেই কেমন টপাটপ বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়ে সবাই। একের পর এক বিয়ের নেমন্তন্ন এসে হাজির হয়। বিয়ের তিথিটা ফ্যাক্টর নয়, একটা-দুটো মাস বাদ দিলে সে তো সারাবছরই রয়েছে। শীতকালে বিয়ে করার আরও অনেক কারণ থাকে।
এনার্জি : একটি বিয়ের বাড়িতে আয়োজন করতে হলে কতকিছুই না করতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে এনার্জি খরচ হয় বিস্তর। তাই শীতই সই। শীতে অনেক কাজ করলেও এনার্জিতে ঘাটতি দেখা যায় না।
উপোসের জন্য শীতকালই বেস্ট : সেই কোন ভোরে খই দই খেয়ে সারাদিন উপোস, গরমে সইবে? শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে বিয়ের সময় মাথা ঘুরিয়ে একশা। কিন্তু শীতে উপোসটা কোনও ব্যাপারই নয়।
সাজগোজের ব্যাপারটাও ইমপর্ট্যান্ট : এ দেশের যা আবহাওয়া, শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। ঘেমেনেয়ে গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতে যেমন খুশি সাজো, কুছ পরোয়া নেহি। বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে চুটিয়ে।
কত ফুল, কত ডেকরেশন: কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজনও হয় না শীতকালে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই – সব টাটকা টাটকা পাওয়া যায় হাফ দামে। এবেলা সাজালে ওবেলায় পচে যায় না।
যত খুশি খাও : অম্বল হবে না। এমনিতেই শীতে হজমশক্তির বৃদ্ধি ঘটে। তাই ফিশফ্রাই, রোগানজোশ, বিরিয়ানি, পোলাও সবই এক থাকায় গপগপিয়ে সাবাড় করা যায় বিনা দ্বিধায়। তা ছাড়া, শীতকালীন কিছু বিশেষ খাবার ওঠে, যেমন গুড়, কমলা লেবু ইত্যাদি… সে সব খাওয়াদাওয়াকে অন্য মাত্রায় পৌঁছে দেয়।
হানিমুনের চার্ম : বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই। ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। হানিমুনও জমে ক্ষীর!

রাজশাহীতে ব্যতিক্রমি সব কৌশলে পরিচালিত হচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা !


যৌন ব্যবসা বা যৌন কর্মে লিপ্ত হওয়া নতুন কিছু নয়। সমাজের নাকের ডগায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যৌন ব্যবসা চলমান দেশের আনাচে কানাচে । তবে  রাজশাহী জেলা শহরসহ উপজেলায় ভিন্নসব  কৌশল অবলম্বনে যৌন ব্যবসা পরিচালিত  হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই ।
বিশেষ করে জেলার সাহেব বাজারের সূর্যমুথী. সোনদীঘির মোড়ের ভাই ভাই হোটেল, বাস র্টামিনালের প্রীতম হোটেল, লক্ষিপুররের সবুজ বাংলা, সৈকত এবং আবাসিক প্রায় হোটেলে যৌন রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন হোটেলের ম্যানেজারের তথ্য মতে, অনেক সময় শহর ও জেলার বাহিরের কলেজের ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাসের জন্য হোটেলে আসে এবং সেই সুত্রপাত থেকে মেয়ে যৌন কর্মীর সন্ধান পাওয়া যায় কখন বা যৌন কর্মিরাই যোগাযোগ করে থাকে।
এ বিষয়ে যৌন কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়. তাদের মধ্যে সিংহ ভাগ শিক্ষার্থী। বাহিরের জেলা থেকে রাজশাহী জেলায় পড়তে আসা মেয়েরা নিজেদের প্রয়োজনিয় চাহিদা ও যুগের সাথে সমতা বজায় রাখা এমনকি  দৈহিক ক্ষুধার তাড়নাতেও অনেকেই এই যৌন ব্যবসা লিপ্ত হয়।
সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনের চোখে অপরাধী হলেও সময়ের স্রোতে যেন ভেসে যাচ্ছে সব অন্যায় । সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা জানাচ্ছেন, ‘ বর্তমান প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারনে হোটেলেন ব্যবসা তেমন ভাল না। তবে কিছু মহলকে উৎকোচ দিয়ে এই যৌন ব্যবসা চলছে বলেও স্বীকারোক্তি তাদের  ।
অনৈতিক এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুন্দর ও সুস্থ সমাজ গড়তে জেলা প্রশাসনের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যার ফল স্বরুপ বুধবার সন্ধ্যায় আবাসিক হোটেল সূর্যমুখীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল ও শান্ত কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেলটিতে অভিযান চালান। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৭ যৌনকর্মী ও ৫ খদ্দেরকে আটক করা হয়। আটক করা হয় হোটেলের ব্যবস্থাপক সুবাস চন্দ্র বর্মণকেও। এছাড়া হোটেল থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ কনডম, লুব্রিক্যান্ট ও যৌন উত্তেজক ঔষুধ। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুবাস স্বীকার করেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই হোটেলে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। এবং শহরের অন্যান্য হোটেলের সাথে তাদের যোগ সুত্র আছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন আশা প্রকাশ করে জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত করে যৌন কর্মীদের সুন্দর একটি সমাজ উপহার দিতে হবে । অন্য সাধারন  মানুষের মত তাদেরও স্বাভাবিক  জীবন যাপন করার অধিকার আছে।

মন্দিরে হামলায় জড়িতদের পক্ষে লড়বে না আইনজীবী সমিতি


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলায় জড়িতদের আইনি সহায়তা করবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি

আজ শুক্রবার দুপুরে নাসিরনগরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমিতির সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন এ কথা জানান

ইউসুফ হোসেনের নেতৃত্বে আইনজীবী সমিতির ১২৫ সদস্যের  প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেতাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও প্রতিমা ভাঙচুর এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সমবেদনা জানান

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এ সময় উপস্থিত ছিলেন

ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন

ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের বেশ কয়েকটি মন্দির ও শতাধিক হিন্দুবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়এর কয়েকদিন পর একই এলাকায় আবারও পাঁচটি ঘর ও একটি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা

Friday, November 11, 2016

সৌদি আরব ও তুরস্কককে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি


সৌদি আরব ও তুরস্ককে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস। সম্প্রতি একটি অডিও বার্তায় এমন হুমকি দেয় আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি।
ফরেন ডেস্ক নিউজ সূত্র জানায়, ‘ইন্টারনেটে প্রচার হওয়া এক অডিও বার্তায় আবু বকর আল বাগদাদি বলেন, সৌদি আরবের মুসলমানরা বিশ্ব মুসলমানের ভাই নয়, তারা শয়তানের বন্ধু। তারা মুসলিমবেশী গাদ্ধার। কারণ, তারা ইহুদি-নাসারাদের সঙ্গে হাত মিলেয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইকারীদের সাহায্য-সহযোগিতা করছে। তাদেরকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দাও।’
অভিও বার্তায় সৌদির সাথে তুরস্ককেও রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে দেয়ার হুমকি দেয় আবু বকর আল বাগদাদি।
এদিকে, আইএস প্রধানের এমন হুমকিকে একটি তামাশামাত্র বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি জোটের মুখপাত্র মেজর জেনারেল আল আনসারি। বৃহস্পতিবার সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জঙ্গিরা অপহরণ, হত্যা এবং মুসলমানদের শিরশ্চেদ করছে- তারাই আবার সাম্প্রদায়িক যুদ্ধে ইসলামিক সাম্প্রদায়কে ধাবিত করার চেষ্টা করছে।’

বিয়ে কী এটা বুঝতাম না, বয়স্ক স্বামীর সাথে বাসর রাতে…যা ঘঠল জানলে লজ্জা পাবেন(ছোটদের জন্য নয়)


আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমি ক্লাস ৭ এ ছিলাম। খুব ছোট বলতে গেলে। বিয়েটা কী বুঝতাম না। স্বাভাবিকভাবেই আমার বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু বিয়ের পর বুঝতে পারলাম একজন বয়স্ক লোকের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। তার বয়স ৩৬ বছর আর আমার ১৪।
আম্মুকে আর পরিবারকে অনেক মিস করতাম। এমনকি বিয়ের পর আমাকে বাড়িতেও আসতে দেয়নি। খুব ছোট ছিলাম তাই খুব একটা ঘরের কাজ পারতাম না। আমার স্বামী যিনি ছিলেন তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক হওয়ার পর আমি প্রায় ৫দিন কোমায় ছিলাম। কিন্তু যখন জ্ঞান ফিরে তখন শুনি আমার শ্বশুরবাড়ির কেউ আমাকে দেখতে আসেনি, এমনকি আমার স্বামীও না।
আমার সব বই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিলো। আর ছোটবেলা থেকে আমার কবিতা, ছোট গল্প আর যা মনে আসতো তা কবিতার ভাষায় লেখার অভ্যাস ছিলো। আমার উপর যেসব অত্যাচার হত তা আমার মাথায় সবসময় ঘুরতো। তাই একদিন বিকেলে অবসর সময়ে আমি এসব লিখছিলাম আমার কবিতার খাতায়। আমার ননদ যিনি ছিলো, উনি দেখে ফেলেছিলো যে আমি কী সব লিখছি। উনি ভেবেছিলেন যে আমি উনাদের নিয়ে বিচার দিয়ে বাড়িতে চিঠি লিখছি। এই কথা আমার স্বামী জানার পর আমাকে অনেক মারধর করে। তখন আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম ৩ মাসের।
অত্যাচারের কারণে আমার প্রচুর ব্লিডিং হয়। পরে বুঝতে পারি যে বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। এর কিছুদিন পর আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার কাকা আর গ্রামের মেম্বার মিলে ডিভোর্সটা করায়। ডিভোর্সের পর আমি আমার পড়া শুরু করতে চাই কিন্তু কেউ আমাকে সাহস দিচ্ছিলো না। আমার খুব কষ্ট লাগতো এই ভেবে যে আমি তো পালাইনি, এমনকি খারাপ কোন কাজ করিনি, শুধু পরিবার যা চেয়েছে তাই করেছি।
তাহলে কেন আমাকে এত বদনাম পেতে হচ্ছে। আমি অনেক কষ্ট করে সবাইকে অনুরোধ করে ক্লাস ৮-এ ভর্তি হই। আমি আমার শ্বশুরবাড়ি ৬ মাস ছিলাম তাই ক্লাস সেভেনের ফাইনাল পরীক্ষা দিতে হয়েছিলো। আমার মা বাবা, নানু, নানা সবাই প্রচুর উৎসাহ দিয়েছিলো। কিন্তু আমার ছোট কাকা কাকি প্রচন্ড মানসিক অত্যাচার করেছিলো।এখন আমি মেডিকেলে পড়ছি। অনেক যুদ্ধ করেছি, এখনও করছি কিন্তু মনের ভেতর কোথাও যেন একটা কষ্ট থেকেই গেছে।
মা সারাদিন বকে কারণ আমি দেখতে অতটা সুন্দর নই এবং কোন বিয়ের প্রপোজাল আসেনা, যার কারণে দিনরাত আমি কথা শুনতে হয়। আমার কোন অধিকার নেই এই পরিবারে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করার। আমার ছোট যে বোন, ও খুব সুন্দর। ও এখন মাত্র ক্লাস ৭-এ পড়ে। ওর সাথেও আমার পরিবার ঠিক একই কাজ করতে চাইছে যেই জঘন্য কাজ ওরা আমার সাথেও করেছিলো।
ঐ কাজটা আমি করতে দেইনি যার কারণে এখন মানসিক কষ্ট আমাকে প্রতিদিন পেতে হচ্ছে। আমি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা অনুভব করছি। আমি এটা থেকে বেরোতে চাই।আমার কী করা উচিত? আমি স্বাভাবিক জীবন চাই। আমি চাইনা কেউ বলুন যে- দেখো একবার বিয়ে হয়েছে। ডিভোর্স প্রাপ্ত মেয়ে। একে কেউ বিয়ে করবেনা।

৪ লাখ টাকায় যুবতীর কুমারিত্ব বিক্রি



বিশ বছর বয়সী এক যুবতী ক্যাথেরিন স্টোন কুমারিত্ব বিক্রি করবেন। এরই মধ্যে তার দাম উঠেছে ৪ লাখ ডলার। বর্তমানে ক্যাথেরিন অবস্থান করছেন নেভাদার একটি নিষিদ্ধ পল্লী বা পতিতালয়ে। এর মালিক ডেনিস হফ। তিনি নিজে বৈধ ১৯টি নিষিদ্ধ পল্লীর মালিক। ফেসবুকের মাধ্যমে ডেনিস হফের সঙ্গে পরিচয় হয় ক্যাথেরিনের। তার মাধ্যমেই তিনি কুমারিত্ব বিক্রির পদক্ষেপ নেন। কেন তিনি কুমারিত্ব বিক্রি করবেন? ক্যাথেরিন বলেছেন, ২০১৪ সালে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে তার বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তাদের কোনো ইন্সুরেন্স ছিল না। ফলে তাদেরকে বাধ্য হয়েই পুড়ে যাওয়া বাড়িতে থাকতে হয়। এ অবস্থায় তিনি একটি নতুন বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। সেই টাকা সংগ্রহের জন্য তিনি কুমারিত্ব বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে ডেনিস হফ তার কুমারিত্ব বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছেন। এ জন্য তার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচকরা বলেছেন, একজন নারী শুধু তার প্রেমিক বা স্বামীর সঙ্গে শরীর বিনিময় করতে পারে। তাদের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ক্যাথেরিন। তিনি বলেছেন, সমালোচকরা বলেছেন প্রেমের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটে থাকে। কিন্তু আমার বিষয়টি বিবেচনা করুন। কারণ, আমি আমার শরীর বিক্রি করছি আমার পরিবারের প্রতি ভালবাসার জন্য।

Thursday, November 10, 2016

ট্রাম্পকে জিতিয়েছেন এই ব্যক্তি! তাজ্জব গোটা বিশ্ব


শালভ কুমার, 'আমেরিকার এখন একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন, যিনি দেশ চালাবেন', তিনিই প্রথম এমনটা ভেবেছিলেন, আর সেই মতই আমেরিকার ভারতীয়দের যেভাবে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সাফল্য এনে দিলেন, তা দেখে তাজ্জুব গোটা বিশ্ব।

ভারতে নরেন্দ্র মোদী, আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প, স্লোগান ছিল হুবুহু এক। ভারতে স্লোগান

ছিল, "আপকি বার মোদী সরকার", আর প্রবাসে সেই স্লোগানেই বসে গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। আমেরিকার ভারতীয়দের মুখে মুখে প্রচারিত হল, "আপকি বার ট্রাম্প সরকার"।

ওষুধ এক, আর ফলও এক। আমেরিকার মসনদে সব 'মিডিয়া জ্যোতিষ'কে হারিয়ে হাতির পিঠে চেপে হোয়াইট হাইসের 'ডন' হলেন রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

"নমস্কার। আমেরিকায় ট্রাম্প সরকার এসে গিয়েছে। আর এতে মোদী সরকার এবং ট্রাম্প সরকারের মেল বন্ধনেই তৈরি হবে ভারত ও আমেরিকার নতুন সেতুবন্ধন", বলছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারক শালভ কুমার।

গোটা একটা বছর প্রচারে ছিলেন, প্রবাসী ভারতের কাছে তাঁর বার্তাই প্রাধান্য পেয়েছে সব থেকে বেশি। কী বলছেন সেই শালভ কুমার?

যেভাবে রসুন খেলে ৩ গুণ বেড়ে যায় পুরুষের মিলনের সক্ষমতা


অনেকের দেখাযায় অতিরিক্ত মাত্রায় শারীরিক মেলামেশা করার ফলে শুক্র সল্পতা দেখা দেয় অর্থাৎ শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় এবং semen (বীর্য) পাতলা হয়ে যায়। আপনার শরীররে যদি শুক্রাণুর মাত্রা কমে যায় তবে আপনি অনেক সময় সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম হতে পারেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার।
যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতিঅ সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থকি৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷
ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন
কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুব ই কার্যকরী৷
সেবন বিধি
প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোষ কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘ স্থায়ি হয় । যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে একটু গরম পানি বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।
যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ি হয়। গবেষণায় প্রমাণিত এতে করে ৩ গুণ পরিমাণ শক্তি বেড়ে যায়।
সাবধানতা
যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে এলার্জি ঘটাতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভালো। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।

আপনি কি যৌনমিলন করার আগে ও পরে এগুলো করেছেন? তবে মহাবিপদ আপনার সামনে


গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, আপনি আপনার জীবনের সেরা যৌনমিলনের সুখ পেতে বছর চল্লিশের কোঠায়৷ কারণ পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে আপনি সমস্ত রকম ভুল ত্রুটি সংশোধন করে, এই বয়সে পরিণত হয়ে ওঠেন৷ তাই সেরা সময় এই পর্বেই উঠে আসে বলে মনে করা হয়৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও গাফিলতির কারণে অনেকসময় কিছু ছোটখাটো ভুল হয়ে যায়, যা পরে সাংঘাতিক বিপদ ডেকে আনে৷ জেনে নিন কি কি সেই ভুল, আর হন বিপদমুক্ত৷
১) যৌনমিলনের পরেই প্রস্রাবের প্রবণতা থাকে অনেকের মধ্যে৷ গোপনাঙ্গে সংক্রমণজনিত রোগকে এড়িয়ে যাওয়ার জন্যই মূত্রত্যাগ করেন অনেকে৷ কিন্তু আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো, তাড়াহুড়ো করে বাথরুমে যাবেন না, প্রস্রাব না পাওয়া পর্যন্ত৷ কারণ জোর করে এই কাজ করে এই সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়ার যে চেষ্টা আপনি করছেন, তা কিন্তু আসলে একটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা, এমনটাই জানিয়েছেন, হাউসটনের এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক, জেনিফার বাম্প৷
২) তাড়াহুড়ো করে ওয়াইনের বোতল শেষ করবেন না৷ ওয়াইন নিঃসন্দেহে আপনার যৌনমিলনের পরিবেশ, মেজাজ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে, কিন্তু অতিরিক্ত ওয়াইন খেলে, বা তাড়াহুড়ো করে তা খেয়ে, এই মিলনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চাইলে, তা যে আপনারই ক্ষতি ডেকে আনবে তা কি জানেন? এরকম কাজ করলে, আপনি চরম মুহুর্তের আনন্দ কিন্তু উপভোগ করতে পারবেন না৷ তাই সাবধান!
৩) আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কি খাবেন না মিলনের আগে৷ একেবারেই ভরপেট কখনোই খাবেন না৷ ভালো ভালো খাবার, শাক সব্জি, ফলমূল খেয়ে যদি ভাবেন ভালো করলেন, তাহলে জানিয়ে রাখি, তা কিন্তু আপনার মিলনের আগ্রহে ভাটা আনতে পারে৷ বরঞ্চ খেতে পারেন হালকা কোনো চকোলেট, যা আপনার আকাঙ্খা বা মুড তৈরি করতে সাহায্য করবে৷
৪) সেক্স-টয় সম্পর্কে জানেন না, এরকম হয়তো খুব কম মানুষই রয়েছেন৷ তব যাঁরা এসব ব্যহার করেন, তাঁরা কিন্তু ভালোভাবে পরিষ্কার করে তুলে রাখুন এসব সেক্স-টয়৷ ব্যবহারের পর কখনোই ওই অবস্থায় ফেলে রেখে দেবেন না এসব৷ নাহলে, সংক্রামক রোগ বেধে যেতে পারে পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের সময়৷
৫) যৌনমিলনের সময় অনেকেই মেন্থল দেওয়া পিচ্ছিলকারক পদার্থ ব্যবহার করেন৷ এটি কিন্তু আপনার পরোক্ষভাবে ক্ষতিই করে৷ বিশেষত মেনোপজের বয়সে মহিলারা এই সমস্যায় পড়েন অনেক সময়৷ তবে মেন্থল ছাড়া ওয়াটার বেসড লুব্রিক্যান্টস এই সমস্যা দূর করতে পারে বলে জানা যায়৷
তবে যে যাই বলুক, আপনার ব্যক্তিগত মুহুর্ত কিভাবে সাজিয়ে তুলবেন তা কিন্তু একেবারেই আপনার বিষয়৷কলকাতা২৪।

উত্তরপ্রদেশে পুড়ল 'কালা ধন'


ওয়েব ডেস্ক: উদ্দেশ্য সাধন। যে উদ্দেশ্যে দেশের প্রধানমন্ত্রী ৫০০ এবং হাজারের নোট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মঙ্গলবার, ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হাতে নাতে মিলল তার ফল! উত্তরপ্রদেশে পুড়ল 'কালা ধন'। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেল হাজার হাজার ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট, কিছু আধপোড়া কিছু পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই। বস্তা বোঝাই করে টাকা পড়ানো হয়েছে। এই ছবি দেখা গেল উত্তরপ্রদেশে।
অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রের সরকার। জাল নোটের সার্কুলেশন বন্ধ করতে মঙ্গলবার রাত বারোটা থেকেই দেশজুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে পাঁচশো ও এক হাজার টাকার নোট। পুরাতন নোট নিয়ে বড় অঙ্কের টাকা ব্যাঙ্কে জমা করতে হলে দিতে হবে বৈধ নথি, টাকার অঙ্কের উপরই বসবে কড়। ব্যস! মাথায় হাত কালো বাজারিদের।