Saturday, November 12, 2016

রাজশাহীতে ব্যতিক্রমি সব কৌশলে পরিচালিত হচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা !


যৌন ব্যবসা বা যৌন কর্মে লিপ্ত হওয়া নতুন কিছু নয়। সমাজের নাকের ডগায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে যৌন ব্যবসা চলমান দেশের আনাচে কানাচে । তবে  রাজশাহী জেলা শহরসহ উপজেলায় ভিন্নসব  কৌশল অবলম্বনে যৌন ব্যবসা পরিচালিত  হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই ।
বিশেষ করে জেলার সাহেব বাজারের সূর্যমুথী. সোনদীঘির মোড়ের ভাই ভাই হোটেল, বাস র্টামিনালের প্রীতম হোটেল, লক্ষিপুররের সবুজ বাংলা, সৈকত এবং আবাসিক প্রায় হোটেলে যৌন রমরমা ব্যবসা। বিভিন্ন হোটেলের ম্যানেজারের তথ্য মতে, অনেক সময় শহর ও জেলার বাহিরের কলেজের ছেলে মেয়েরা আনন্দ উল্লাসের জন্য হোটেলে আসে এবং সেই সুত্রপাত থেকে মেয়ে যৌন কর্মীর সন্ধান পাওয়া যায় কখন বা যৌন কর্মিরাই যোগাযোগ করে থাকে।
এ বিষয়ে যৌন কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়. তাদের মধ্যে সিংহ ভাগ শিক্ষার্থী। বাহিরের জেলা থেকে রাজশাহী জেলায় পড়তে আসা মেয়েরা নিজেদের প্রয়োজনিয় চাহিদা ও যুগের সাথে সমতা বজায় রাখা এমনকি  দৈহিক ক্ষুধার তাড়নাতেও অনেকেই এই যৌন ব্যবসা লিপ্ত হয়।
সমাজ ও দেশের প্রচলিত আইনের চোখে অপরাধী হলেও সময়ের স্রোতে যেন ভেসে যাচ্ছে সব অন্যায় । সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা জানাচ্ছেন, ‘ বর্তমান প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারনে হোটেলেন ব্যবসা তেমন ভাল না। তবে কিছু মহলকে উৎকোচ দিয়ে এই যৌন ব্যবসা চলছে বলেও স্বীকারোক্তি তাদের  ।
অনৈতিক এসব কার্যকলাপের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন বলেছেন, মানুষের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন। এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে সুন্দর ও সুস্থ সমাজ গড়তে জেলা প্রশাসনের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
যার ফল স্বরুপ বুধবার সন্ধ্যায় আবাসিক হোটেল সূর্যমুখীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইসমাঈল ও শান্ত কুমার দাশের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত হোটেলটিতে অভিযান চালান। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা অবস্থায় হোটেলের বিভিন্ন কক্ষ থেকে ৭ যৌনকর্মী ও ৫ খদ্দেরকে আটক করা হয়। আটক করা হয় হোটেলের ব্যবস্থাপক সুবাস চন্দ্র বর্মণকেও। এছাড়া হোটেল থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ কনডম, লুব্রিক্যান্ট ও যৌন উত্তেজক ঔষুধ। আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সুবাস স্বীকার করেন, দীর্ঘ দিন ধরে এই হোটেলে বাণিজ্যিকভাবে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ চলে আসছে। এবং শহরের অন্যান্য হোটেলের সাথে তাদের যোগ সুত্র আছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দিন আশা প্রকাশ করে জানান, অসামাজিক কার্যকলাপ মুক্ত করে যৌন কর্মীদের সুন্দর একটি সমাজ উপহার দিতে হবে । অন্য সাধারন  মানুষের মত তাদেরও স্বাভাবিক  জীবন যাপন করার অধিকার আছে।

No comments:

Post a Comment