Tuesday, November 8, 2016

এগিয়ে গেলেন ট্রাম্প, বাতিল হলো হিলারির উৎসব


মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম কেন্দ্রের ভোটে ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিনটন জয়ী হলেও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগেনি। তিনটি শহরের ফলাফল অনুযায়ী ট্রাম্প ৩২-২৫ ভোটে এগিয়ে গেছেন।
অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পরপরই নিউ ইয়র্কের হাডসন নদীজুড়ে আতশবাজি উৎসব করার ঘোষণা দিয়েছিল ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের শিবির। কিন্তু তারা সেটা বাতিল করে দিয়েছে। কেন হঠাৎ করে তা বাতিল করা হলো তা জানানো হয়নি।
তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান টমি গ্যাতালি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা আতশবাজির জন্য অনুমোদন নিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা তা বাতিল করেছে। কেন বাতিল করেছে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তা আপনাদের বলবো না।’
বিষয়টি সন্দেহের জন্ম দিয়েছে অনেকের মনে। তাহলে কি হিলারি পাশার দান উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন?
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা গেছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ভোট গণনা হয় নিউ হ্যাম্পশায়ারে। আর হ্যাম্পশায়ারের তিনটি এলাকায় গণনা শেষে দেখা যায়, দুটিতে এগিয়ে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন। একটি এলাকায় এগিয়ে ছিলেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু, মোট ভোটের হিসেবে ট্রাম্প পিছনে ফেলে দিয়েছেন হিলারিকে।
খবরে বলা হয়েছে, নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রদেশের ছোট্ট এলাকা ডিক্সভিল নচ-এর ভোটের ফল সর্বাগ্রে ঘোষিত হয়েছে। আমেরিকার নির্বাচনে সর্বদাই ডিক্সভিল নচ-এর ভোটের ফল সর্বাগ্রে ঘোষিত হয়। ২০১০ সালের জনগণনা অনুযায়ী ডিক্সভিল নচ-এর জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১২। অর্থাৎ ভোটদাতার সংখ্যা আরও কম। ভোটদাতার সংখ্যা এত কম হওয়ার কারণেই ডিক্সভিল নচ-এর ভোটগণনা সর্বাগ্রে শেষ হয়ে যায়। এবারের নির্বাচনে ডিক্সভিল নচ-এ ৭টি ভোট পড়েছে। ৪টি ভোট পেয়েছেন হিলারি, ২টি পেয়েছেন ট্রাম্প। লিবার্টেরিয়ান পার্টির প্রার্থী গ্রে জনসন পেয়েছেন ১টি ভোট।
ভোটগণনার এই প্রথম দফার ফল প্রকাশিত হতেই হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ২ ভোটে এগিয়ে যান। এর পর পর ওই প্রদেশেরই হার্ট’স লোকেশন এলাকায় গিয়ে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন হিলারি ক্লিন্টন। হার্ট’স লোকেশনে হিলারি ১৭টি ভোট পেয়েছেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ১৪টি। ফলে হিলারির এগিয়ে থাকার ব্যবধান ২ থেকে বেড়ে ৫-এ পৌঁছে যায়। কিন্তু মিলসফিল্ড এলাকার গণনার ফল প্রকাশিত হতেই পিছিয়ে পড়েছেন হিলারি। মিলসফিল্ডে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬টি ভোট। হিলারি ক্লিন্টন পেয়েছেন মাত্র ৪টি। ফলে তিনটির মধ্যে দু’টি এলাকায় এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও হিলারি ক্লিন্টনের মোট ভোট এখনও পর্যন্ত ২৫। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোট ভোট ৩২।
নিউ হ্যাম্পশায়ারে কে জিততে চলেছেন, তা অবশ্য এই তিনটি ছোট ছোট এলাকার ভোটগণনার ফল দেখে আঁচ করা একেবারেই সম্ভব নয়। ডিক্সভিল নচ, হার্ট’স লোকেশন, মিলফিল্ডের ফলাফল দেখে গোটা আমেরিকার ফলাফলের আঁচ পাওয়া আরও অসম্ভব। তবু ভোটগণনার একেবারে প্রারম্ভিক গতিবিধি বলছে, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর প্রতিদ্বন্দী ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হিলারি ক্লিন্টনের চেয়ে ৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
নিউ হ্যাম্পশায়ার প্রদেশের ইলেক্টোরাল কলেজে মোট নির্বাচক সংখ্যা ৪। এই প্রদেশের ভোট গণনায় এখনও পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প যেভাবে এগিয়ে রয়েছেন, সেই ধারা বজায় থাকলে নিউ হ্যাম্পশায়ার ইলেক্টোরাল কলেজের চারটি ভোটই ট্রাম্পের ঝুলিতে চলে যাবে। যা হিলারির জন্য কোনোভাবেই সুখকর কোনো ঘটনা হবে না।

No comments:

Post a Comment