জেনে নিন কুয়েত কত দিনার বেতন হলে পরিবার নিজে যেতে পারবেন ফ্রি তে

মাত্র কয়েক দিনের পরেই কুয়েত প্রবাসী শ্রমিকদের স্ত্রী ও সন্তানদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য ও দর্শন ভিসা ইস্যু করার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন,এবং নির্ধারিত করে দিয়েছেন নূন্যতম কত বেতন হলে তারা তাদের স্ত্রী,সন্তান,আত্নীয়দের দর্শনভিসার ইস্যু করার অনুমোদন পাবেন।

এই বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করবেক কুয়েত সরকার। বিদেশিদের জন্য দর্শন ভিসা ইস্যু করার এই আইন প্রণয়ন করার মূল লক্ষ্য হলঃ এটি দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে।এবং আসা করা যায় যে,দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

কুয়েতেরমেজর জেনারেল তালাল মারাফি, বলেন যদিও পূর্ববর্তী ন্যূনতম মজুরি ছিল ১৫০ডিনার।
“অন্যদিকে, ন্যূনতম ৩০০ ডিনার বেতন হলে একজন প্রবাসী অপত্য বা অন্য কোন আত্মীয়ের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।এবং জেনারেল মারাফি ব্যাখা করে বলেন যে,বাবা হলে তার জন্যনূন্যতম ৩০০ ডিনার বেতন থাকবে এবং তার বয়স ৫০ এর উপরে হতে পারবেনা। তিনি বলেন যে এতে করে দেশে নি রাপত্তাজনিত সমস্যা হতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বছর, একটি স্ত্রী বা তিন মাস পর্যন্ত শিশুর জন্য ইস্যুকৃত দর্শন ভিসার সময়কাল সেট করেন, তখন আত্মীয়দের জন্য দর্শন ভিসার মেয়াদ এক মাস নির্ধারণ করা হয়করা হয়।
সর্বশেষ বুধবার, উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আল-খালেদ আল সাবাহ ২৫০ ডিনার থেকে ৪৫০ দিনারের বেতন এর উপর নির্ভরশীল ভিসা দেবেন। প্রয়োজনে বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদেশী আবাস আইন সংশোধনের একটি পদক্ষেপ,যা বিদেশী পরিবারের সংখ্যা কমানো জন্য প্রত্যাশিত দেশে প্রত্যাশিত আইন জারী করেন।কুয়েতেজেনারেল মারাফি আরও বলেনঃ
সবচেয়ে সাম্প্রতিক একটি পদক্ষেপ হল , কুয়েতে ডেমোগ্রাফিক ভারসাম্যহীনতা সমস্যার সমাধান, কুয়েতে এখন যে ব্যাপকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অধোগতি ও অন্যান্য নাজুক বিষয় এর মধ্যে জনসেবা ও অবকাঠামো এবং বেকারত্ব এর অধোগামী জন্য দায়ী করা হয় । এই উদ্দেশ্যদেশে বর্তমানে ২,৬৭০,০০০ প্রবাসী আছে, এবং যদি আমরা এখনো এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ না করি, তাহলে এই জনসংখা সংখ্যা বেড়ে কয়েক বছরের মধ্যে দ্বিগুণ হবে, এবং এতে একটি বড় সমস্যা তৈরি হবে।

“কীভাবে একজন ব্যক্তি তার ২৫০ দিনারের মাসিক বেতন এ জীবনযাপনের জন্য ব্যায় করে সঙ্গে এবং তার পরিবারের সব চাহিদা পূরণে সামর্থ্য?”মারাফি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে প্রতিরক্ষায় বলেন, “এটা অযৌক্তিক, এবং টাকা অবিকার এবং নিষ্ফলা জনশক্তি প্রতি অঙ্গীকার খোয়াতে কোন উপায়ে পালন করেনা.” তিনি আশ্বস্ত প্রকাশ করেন যে এই সিদ্ধান্ত ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হবে, এবং শুধুমাত্র নির্ভরশীল ভিসা আবেদনে এটি প্রভাবিত করবে সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে সহযোগিতা প্রকাশ করবে। নির্ভরশীল ভিসা ইস্যু করার আগে সিদ্ধান্ত এখনও পুরানো বেতন উপর ভিত্তি করে নবায়ন করা যাবে না, এবং একই নবজাতকদের জন্য ভিসা ইস্যু ও করাযাবেনা।

শুধু পুরুষ প্রবাসীদের জন্য কুয়েতের আবাস আইন অনুযায়ী, একটি পরিবার ব্যয় বহন করার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। বেসরকারি খাতে একটি পুরুষ প্রবাসী যাদের বেতন সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২৪৭ দিনার হবে কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন। আর যদি স্বামী মারা যায়, একটি পরিশ্রমী মা থাকেন তার সন্তানদের ব্যয় বহন ও করতে পারেন, তবে শর্ত থাকে যে তার মাসিক বেতন ৪৫০ দিনার ন্যূনতম বেতন হতে হবে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়াও স্বামীদের এবং শিশুদের বিষয়ে মানবিক ভিত্তিতে আইন তৈরি করা হবে বলেও জানান তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক ব্যবস্থায় কুয়েত সরকারের বর্তমান জনসংখ্যা সমস্যা সর্বাগ্রে যা বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ প্রবাসী দ্বারা প্রভাবিত হয়। পুনর্বিন্যাস পরিকল্পনা সাথে লিঙ্ক করার জন্য, বিষয়টি সম্পর্কেনজর দিয়েছেন কুয়েত সরকার। প্রবাসী জনসংখ্যা কমাতে কুয়েতে প্রবাসী সম্প্রদায়ের সংখ্যা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে তাই একটি কোটা নির্ধারণ করেন, যাতে যোগ করেন যে জনসংখ্যা হ্রাস বৃদ্ধিরএ ফলশ্রুতিতে কোন নেতিবাচক প্রভাব না পরে এই ব্যাপারে এক্অকি পদক্ষেপনেয়া হবে। এই “প্রভাব এ একটি দেশের প্রবাসীপ্রচণ্ড হ্রাস যা অন্যান্য দেশের সঙ্গে কুয়েত সম্পর্ক খারাপ হতে পারে এ ছাড়াও রাজ্যের অর্থনৈতিক ও শ্রমবাজার ক্ষেত্রের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে বলে তিনি আশংখা প্রকাশ করেন। মিশরীয় সরকার গত সপ্তাহে কুয়েতে একটি সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সম্প্রতি প্রায় ১৩,০০০ মিশরের রাষ্ট্রীয় কাজে শিক্ষকের মাসিক ভাড়া ভাতা ১৫০ ডিনার থেকে কমিয়ে ৬০ দিনার করেএবং সরকারি স্কুলে প্রবাসী শিক্ষকদের তা প্রদান করা হয় । এবং তা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান. জনশক্তি মোহাম্মদ সাফান মিশরীয় মন্ত্রী এমনকি এই বলে যে ‘সঙ্কটের’ এই সিদ্ধান্তের কাতারে দেরী হয়ে গেছে,যা আগামী সপ্তাহে আরব শ্রম সংস্থার বৈঠকের আলোচনায় এটি উপস্থাপন করা হবে বলে তন আশা প্রকাশ করেন।

সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী এবং শ্রম ও পরিকল্পনয়ার প্রতিমন্ত্রী ও উন্নয়ন হিন্দ আল সাবাইহ যে কুয়েতের ডেমোগ্রাফিক ভারসাম্যহীনতার শোধক সরকারের পরিকল্পনার অংশ ,তার এখনো বাস্তবায়ন “দীর্ঘায়িত সময় সময়সীমার” এর চাহিদার পাশাপাশি পুনর্ব্যক্ত করেন।