Saturday, December 3, 2016

সামাজিক মাধ্যমে লম্পট এক নরপশু ‘পিতার’ দৃস্টান্তমুলক শাস্তির দাবী


সভ্যতার শুরু থেকেই সন্তানের প্রতি পিতা-মাতার ভালোবাসা অকৃত্তিম। একজন সন্তান বরাবরই তার পিতা-মাতার কাছে সবচেয়ে নিরাপদ যে কোন মুহুর্তেই। অথচ কালের বিবর্তনে এমন বিশ্বাস আর মুল্যবোধের মুখে লাথি মেরে মাত্র কিছু মানুষের ‘পশুসুলভ’ আচরনের কারনে সেই পবিত্র সম্পর্ক হয়ে উঠছে ভয়াবহ রকমের প্রশ্নবিদ্ধ !
খবরের পাতায় সামান্য বিরতি দিয়েই প্রায়শই দেখি গর্ভধারিনী মায়ের হাতে সন্তানকে নৃশংস কায়দায় হত্যার মত ঘটনা। আবার কখনো নিজ পিতার হাতে আপন কন্যার ধর্ষিত হবার মত ন্যাক্যারজনক ঘটনা ! অনেক সময় সংবাদ হিসেবে সেসব ঘটনা প্রকাশ করতে শুধু আমরাই নই পাঠকেরাও হয়ে থাকেন দারুন রকমের বিব্রত।
এবার তেমনি একটি ন্যক্যারজনক ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। খুব সহজেই আইনের ফাঁক-ফোকড় গলিয়ে এই নরপশু বাবা যেন পার না পায় সে জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সবাই। প্রতিবাদে সবাই তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন যে, খুব দ্রুতই এই নরপশুর দৃস্টান্তমুলক শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় ।
নগরীর লালদিঘীরপার এলাকায় একটি আবসিক হোটেলে নিজের কিশোরী কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এক বৃদ্ধ পিতার বিরুদ্ধে !
মেয়েকে ধর্ষণচেষ্টায় নরপশু ঐ বাবাকে হোটেলে কতৃপক্ষ আটক করার পর তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।বর্তমানে আটক ঐ নরপশু জেলহাজতে রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ইলিয়াস মিয়া (৫৫) নামক ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।ইলিয়াস মিয়া সিলেটের মোগলাবাজার থানার মোকাম দুয়ার এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় যুবক রাজিউল সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে হোটেলের একটি  কক্ষে ধস্তাধস্তি ও নারী কন্ঠের চিৎকার শুনে হোটেল কতৃপক্ষ সহ স্থানীয়রা এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে ‘হাউমাউ করে কেদে উঠে বছর ১৮’র এক কিশোরী ।কিশোরীর অভিযোগ সাথে থাকা বৃদ্ধ মানুষটি তার বাবা। আর তার বাবাই তাকে কৌশলে হোটেল রুমে উঠিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে!
সিলেট নগরীর কোতোয়ালী থানার এসআই ফয়েজ আহমদ স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মেয়েকে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট শহরে আসেন ইলিয়াস মিয়া। বিকেলে ডাক্তার দেখাবেন অজুহাত দেখিয়ে মেয়েকে নিয়ে লালদিঘীরপারস্থ হোটেল আল-ইসলামে ওঠেন তিনি।’
হোটেল কক্ষে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান ইলিয়াস মিয়া। এসময় কক্ষের ভেতর ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে হোটেলের ম্যানেজার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ওই মেয়ে পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইলিয়াস মিয়াকে আটক করা হয়।  পরে মেয়ের মামলার প্রেক্ষিতে ইলিয়াস মিয়াকে সন্ধ্যায় গ্রেফতার দেখানো হয়। ওই মেয়ে বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এসআই ফয়েজ।

স্থানীয়দের মোবাইলে ধারনকৃত ভিডিও থেকে সংগৃহীত

ভিডিওটি সংবাদ প্রকাশের ‘নীতিমালা’ মেনে অস্পষ্ট করা হয়েছে । কথোপকথন- সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় ।

No comments:

Post a Comment